Friday, August 6, 2010

সুস্থভাবে বাঁচতে উপবাসের ভূমিকা

রোজা মাসের সময় একজন মুসলিম সকাল থেকে কিছু খান না ও পান করেন না,যখন দিগন্তে আলোর ঝলক দেখা যেতে পারে,যতক্ষণ না পর্যন্ত সূর্য ডুবছেরমজান চলা কালীন একজন ইন্দ্রিয় সন্তুষ্টি থেকে বিরত থাকেরোজার নীতি এই সীমাবদ্ধতা এবং অসংযমীর সাথে যুক্তসীমাবদ্ধতা ছাড়া সত্যিকারের জ্ঞান অসম্ভব,কারণ আমরা যখন শেষ আসি অথবা কোনো জিনিসের সীমানায় যে এর প্রকৃত বৈশিষ্ট্য প্রমাণ হয়ে যায়রোজা অসংযমের সীমা নির্ধারণ করে,অথবা এতে আরোপ করে একটা পরিষ্কার সীমা দিনের পর দিন এক মাসের জন্য অথবা প্রায় ৩৬০ ঘন্টার জন্য একটা সুস্পষ্ট আধ্যাতিক শিক্ষা প্রদান করেএটাও চলতে থাকে একটা বিশুদ্ধতার এবং ত্যাগের মহানতাতে যেটি যেমন গাছকে কেটে ফেলা যেটি পুণরাবৃত্তিক এবং বিশুদ্ধ শক্তিতে নিয়ে যায়মৌলিক ভূমির উপর এটা নিয়ে আসে ক্ষুধায় ভোগার একটা সোজাসুজি বোঝাপাড়াএই সীমাবদ্ধতা বেড়ে যায় এবং কারো ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ,যাতে করে কেউ একজন কুঅভ্যাসতে ত্যাগ করতে পারে

অন্যান্ন ধর্মে রোজা
উপবাস প্রায় সব ধর্মে পালন করা হয়জিও এবং খ্রীষ্টানরা ও উপবাস করেনজিওস আইন আদেশ করে একটা বাৎসরিক উপবাস ওম কিপের একটা এটনমেন্টের দিনঅনেক গোঁড়া জিওস এ বর ও বধুকে তাদের বিবাহের দিনের আগে উপবাস করার প্রয়োজন হয়লেন্টের,৪০ দিনের সময় যখন যেটা জেসাস(ইসা আলেহ সাল্লাম)জনহীন মরুভূমি তে রোজা পালন করেছিলেন,সেই সময় অনেক খ্রীষ্টান রোজা পালন করেন

কেন মুসলিমদের রোজা করা উচিত
সন্ন্যাসী উপাদান সকলের জীবনে প্রয়োজনকোনো ধর্ম সম্ভব নয় স্ব-প্রত্যাখান এবং সন্ন্যাসী ছাড়াইন্দ্রের উপলব্ধি উৎপন্ন করতে সক্ষম হতে, একজন একদা অবশ্যয় পশ্চাদপসারণ অনুভূতির অঢেল জীবনএইভাবে অবাধ নীতির কিছু উপকরণ থেকে জীবনের অনুভূতি টিকে সমতা রেখেছে এবং আধ্যাতিক জীবনের জন্য মনুষ্য আত্মা কে খুলে রাখেএই রকম একটা নিয়ম রোজা রাখা,রমজান মাসে এবং অন্যান্ন সময়ে মুসলিমদের উপর নিয়মানুবর্তী হওয়ারোজার সময় পরিহারটি ভোগবাসনা আত্মার প্রতি নির্দেশিত করে,যাকে কোরাণ বলে “অল-নাফস অল-আমারাহ”রোজার সময় ভোগবাসনা আত্মার দূরন্ত প্রবনতাকে নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে প্রশমিত করে পরিকল্পনা মাফিক এই প্রবণতাগুলো কে ভগবানের ইচ্ছার প্রতি সর্মপন করেরোজার সময় ভোগবাসনার বিপুল কামনা অপ্রত্যুক্ত হয়ে যায় যেহেতু মুসলিম বলা হয় তার রোজা আল্লাহ কে খুশি করার জন্য
(সুবহানাহু ওয়া তালহা),এইটা সুতরাং মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিরত থাকতে,কেবল খাওয়া ও পান করা থেকে নয়,প্রতিটি ব্যাকুল ইন্দ্রিয় কামনা থেকেরোজার সময় খাবার এবং পানীয় যেটা অনুমোদনের জন্য নেওয়া হয় বছরের বাকী সময়ের জন্য সেটা নিমহা বা উপহার হয়ে যায় স্বর্গ থেকেএই রোজা বিশুদ্ধতার ফলক হয় বিশ্বের অনুভূতির সাথে রোজাতে একটা মুসলিম তার বস্তুবাদ জীবন থেকে আল্লাহ কে পছন্দ করেএই পথ নবী মহম্মদ(সাল্লাহ আল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) রোজা করতে ভালোবাসতেন খুব ঘনঘন এবং তাকে বলা হত অল-ফকর ফকরি(আমার গর্বের আধ্যাতিক দারিদ্র)

প্রবল অনুরাগের মৃত্যু মানুষের আত্মাকে বিশুদ্ধ করে
এই কারণে য় পবিত্র রমজান মাসের আগমণ কে খুশির সহিত সম্ভাষণ করা হয়এই মাসের জন্য স্বর্গের দরজা খোলা হয় বিশ্বস্থদের জন্য এবং আল্লাহ করুণা ঝাঁপিয়ে যিনিরা এটা চানযিনিরা রমজান মাসে রোজা সম্পন্ন করেছেন তিনারা নবযৌবন লাভ করেন এবং পরের বছরে সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন জীবনে দৃঢতার সাথে এবং আল্লাহ র ইচ্ছার অনুযায়ী কাজ করেন

বিজ্ঞান উপবাস কে সমর্থন করে
উপবাস করার লাভ কী?বিজ্ঞানীরা পড়াশোনা করেছেন যে,শরীরের উপর উপবাসের ফল এবং বের করেছেন যে খাবার নেওয়াটা শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়া টা বাড়িয়ে দেয়উপবাসের পর,বিপাকীয় ক্রিয়া টা সাধারণ হারের থেকে শতকরা ২২ শতাংশ কমে যায়গবেষণা এটাও দেখিয়েছে যে দীর্ঘ সময় উপবাসের পর শরীর নিজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়,নিজে থেকে বিপাকীয় ক্রিয়ার হার কমিয়ে দিয়েউপবাসের পর একজন ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করে নিজে থেকে
অন্যান্ন কিছু পড়াশোনায় রোজা রাখা মুসলিমদের কার্য সম্পাদন,এটা দেখা গেছে যে সেখানে একটু হাল্কা ওজন হারিয়ে যায় স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেতাদের রক্তের শর্করা মাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়ে যায়অন্যান্ন বিষয় গুলো যেমন রক্তের ক্রোটিসল, টেট্রোটেরণ,সোডিয়াম,পটাশিয়াম,ইউরিয়া,সম্পূর্ণ কোলেষ্ট্রেল,এইচডিএল(হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন), টিজি (ট্রিগলিসেরাইড),এবং সিরাম অসমোলাটিটি বিশেষ কিছু পার্থক্য দেখায় না
ইরানে অন্য একটি অধ্যয়ন করা হয়েছিল একশতক আগে দেখায় যে খাবার ও পানীয় থেকে এখানে সেখানে ছড়িয়ে থাকা প্রায় দিনে ১৭ ঘন্টা ৩০ দিনের জন্য পুরুষের পুনরুৎপাদন হরমোন কে পরিবর্তন করে না, এইচপিটিএ (হাইপোথালামিক-পিটুইটারি-থাইরয়েড-এক্সিস) অথবা থাইরয়েড হরমোনোর আনুসাঙ্গিক বিপাকীয়উপবাসের পর কোনোরকম পরিবর্তন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে চার সপ্তাহ পরে
ডঃজালিল ইল আটি এবং তার সহযোগী (“ইনক্রিজড ফ্যাট অক্সিডেশন ডিওরিং রামাদান ফাস্টিং ইন হেলদি ওমেনঃএন এডাপটিভ মেকানিজম ফর বডি-ওয়েট মেনটেনেন্স ”এম যে ক্লিন নিউট্রি ,আগষ্ট ১৯৯৫), যিনি নরপৈদিক রামাদানের উপবাসের সাম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া পরিক্ষা করেছিলেন এবং স্বাস্থ্যবতী তুনিসিয়ান মুসলিম মহিলাদের বিপাকীয় পরিবর্তন দেখায় যে মোট দৈনিক শক্তি নেওয়া অপরিবর্তনীয় থেকে যায় যেখানে পুষ্টির  গুণগত অংশ বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছেরামাদানের রোজা শরীরের ওজন বা গঠন কে প্রভাবিত করে নাফলটা নির্দেশ রামাদানের সময় করে শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত এবং শক্তি ব্যায়চর্বিযুক্ত অক্সিডেশেন ও বেড়ে যায় এবং কার্বোহাইড্রেট অক্সিডেশেন কমে গিয়েছিল নাইসিমেরনের ছোট সময়ের মধ্যে
অ-মুসলিমীয় দেশগুলি যেমন ইউএস শারীরবিদ বিশেষ করে পরিবারের শারীরবিদ এবং তরুণ চিকিৎসক গ্লুকোজে এবং বিলিরুবিন পরিবর্তন সম্বন্ধে সচেতন হওয়া দরকার রামাদান মাসের সময়
উপবাস মিউকোসা বাড়াতে পারে আরহন করে বি-লিম্ফোসাইট কোষ দায়ী যখন বি কোষের উপর প্রতিক্রিয়া থাকে না বাতরোগ সংক্রান্ত গেঁটেবাত রোগী এবং স্বাস্থ্যবান স্বাচ্ছাসেবক উভয়ের ক্ষেত্রেএকটা পাঠে,তিন দিন পর কেবল মাত্র জল উপবাস করা হয় ৭ জন্য বাতরোগ সংক্রান্ত গেঁটেবাত রোগী এবং ১৭ জন্য স্বাস্থ্যবান স্বাচ্ছাসেবক ইনফুলেঞ্জা ভাইরাস ভ্যাকসিন হয় মুখে বা ইনজেক্সসনের মাধ্যমে নিয়েছেযখন রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল বি লিম্ফোসাইটের জন্য একসপ্তাহ বাদে সাড়া দিয়েছিল,এটা দেখা গিয়েছিল যে বি লিম্ফোসাইটের সাড়া এই বিভাগে বেড়েছে যারা ভ্যাকসিন মুখে নিয়েছিল গেঁটেবাত রোগী এবং স্বাচ্ছাসেবক উভয়েইইনজেক্সসন ভ্যাকসিনের সাড়া অপরিবর্তনীয় ছিল উভয় বিভাগেই

উপবাস দীর্ঘায়ূ হতে সাহায্য করে
গবেষণাগারের প্রাণীর উপর অধ্যায়ন দেখিয়েছে যে ক্যালোরি নেওয়ার বাধা দীর্ঘায়ূ হওয়া টা বাড়িয়ে দেয় কার্যকারীর দূর্বলতা হওয়ার হার টা কমিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বয়স ঘটিত রোগ ঘটার সম্ভবনা কমিয়ে দেয়ক্যালোরি বাধে দেওয়ার ক্রিয়ার কার্যকারিতা অজানা থেকে যায়,যাইহোক তথ্য বলছে যে কোষবিশিষ্ট কার্যকারিতা এমনভাবে পরিবর্তন হয় যে বিপাকীয় ক্রিয়ার সৃষ্টির ধ্বংসাত্বক কমে যায় এবং প্রতিরোধ অথবা সংরক্ষ্ণন তন্ত্র বেড়ে যায় এই পুষ্টিগত সংশোধনের দ্বারাপ্রাণী এবং মানুষ বিদ্যা বলে যে সাম্ভাব্য উপকারিতা পথ্যবিধি সংক্রান্ত,অনুশীলন,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,হরমোন এবং ডেপ্রিনিল

উপাবাসী এবং দুধ খাওয়ানো মায়েরা
উপবাসের প্রতিক্রিয়া এবং বর্ধিত ব্লাড ইনসুলিন এবং দুধের পরিমাণে গ্লুকোজ এবং সংযোজন অধ্যায়ন করা হয় গ্লুকোজ ক্লাম প্রক্রিয়ার সাহায্যে বিশেষ এবং আংশিকভাবে দুধ খাওয়ানো মেয়েদের ক্ষেত্রে (দৈনিক ২০০ মিলির বেশি দুধ উৎপাদন করে না)দুধের আয়তন, দুধের গ্লকোজের কেন্দ্রীকরণ ,এবং মোট থাকা ফ্যাট অথবা ল্যাকটোজ ক্ষরণের হারের উপর কোনো প্রতিক্রিয়া নেয়এটা উপসংহার করা যায় যে হোমোস্টাটিক প্রক্রিয়ার দ্বারা মানুষের দুধের উৎপাদন পৃথক করা হয়েছে যেটা শরীরের বাকি অংশে গ্লুকোজের বিপাকীয় ক্রিয়া কে পরিচালিত করে, এই অংশে কারন ল্যাক্টোজ সিন্থেসাইজ তন্ত্র গ্লুকোজের এম গোলকি কামরায় যে সংযোজন পাওয়া যায় তার থেকে কম
একটা পঠন যেখা বলছে যে মেয়েদের অল্প সময়ের(৭২ ঘন্টা) উপবাসের প্রতিক্রিয়া হরমোন ক্ষরণের পুণঃউৎপাদনের এবং রজঃস্রাব সংক্রান্ত কার্যের উপর,এটা নির্ণয় করা যায় যে গভীর বিপাকীয় পরিবর্তনের সত্বেও,একটা ৭২ ঘন্টার উপবাসের সময় স্বাভাবিক মেয়েদের রজঃস্রাবের উপর প্রতিক্রিয়া করে না

উপবাস এবং অবসান ঘটানো
উপবাসকে ব্যবহার করে জটিল অসুখ চিকিৎসা করার অধ্যায়ন পরিচালিত হয় অসটিও বাত-রোগ সংক্রান্ত গেঁটে বাত অথবা হাঁপানি কিছু কম সময়ের জন্য কিছু দিনের জন্য স্বাস্থ্য পরিক্ষা করা জল কেবল মাত্র ৩০ দিনের উপবাস শরীর নিজে থেকে নিরাময় করতে সাহায্য করেএটা জানা গেছে যে বাচচা এবং প্রাণি উভয়ই খেতে অনীহা করে যখন তারা স্বাভাবিক ভাবে দূর্বল থাকেগভীর ভাবে অসুস্থের কোনো জৈব আকাঙ্খা নেই,কিন্তু তারা খাবার নেই কেবলমাত্র বাড়ির লোকদের তাড়াতেগভীরভাবে অসুস্থরা কোনো ক্ষুধা অনুভব করে না কারণ গভীর অসুস্থতাতে স্বাভাবিক সাড়াতে হস্তক্ষেপ করেশরীর সবসময় নিজে থেকে নিরাময় করেযখন রোগী বিশ্রাম নেই এবং কেবলমাত্র জল নেই শরীর নিজে থেকেই উপশম করে এবং রোজা রাখা টাকে সহজতর করেরোজার দ্বারা যেগুলো আসক্তিজনক যেমন কফি,সিগারেট,নোনা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার,যেমন রোজা মুকুলের স্বাদ নিতে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার ভালো স্বাদ পেতে সাহায্য করেযাইহোক ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিক রোগী রোজা রাখবে না কারণ ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিক রোগীর কেটোসিসের জন্য যিনি কেটোসিসটাকে ভাঙ্গতে পারেন না এবং জ্বালানী হিসাবে তাদেরকে ব্যবহার করেস্বাস্থ্যবান লোকেরা কেটোসিস(ফ্যাট বিপাকীয়র উপাজাত) ব্যবহার করে শক্তি সমতা রাখার জন্য (গ্লোকোজ সংরক্ষণের জন্য ,গ্লুকোজ কেন্দ্রীয় তন্ত্রে সীমাবদ্ধ থাকে,বিশেষ করে মাথার ঘিলুতে,মাথার ঘিলু থেকে গ্লুকোজ নেওয়ার পরিবর্তে শরীর চর্বিযুক্ত অ্যাসিড মেদবহুল কলাতে ভাঙ্গতে শুরু করে)লোকেরা যিনিরা অ-ইনসুলিনযুক্ত ডায়াবেটিক (বেশিরভাগ লোক যিনিদের ডায়াবেটিক আছে) রোজা রেখে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন
রোজা কার্ডিওভাস্কুলার রোগ,গেঁটে বাত,হাঁপানি,অ-ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিক,আলসার,হজম সংক্রান্ত অনিয়ম, লুপাস, চর্মের সমস্যা (সিস্ট,টিউমার,কিডনি স্টোন যুক্ত) রোগীদের সাহায্য করেএমনকি ধুমপান ছেড়ে দেওয়া এবং অতিশয় স্থুলতা রোজাতে ভালো সাড়া দেয়
রমজান মাসের রোজা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো প্রতিকূলতার কারণ হয় না ,অপর পক্ষ্যে এটি ওজন ও লিপিড বিপাকীয় তে এর হিতকর প্রতিক্রিয়া আছে
লেখক: ডাঃ ইব্রাহীম বি সাইদ, পি এইচ ডি, ক্লিনিকাল প্রফেসর অফ মেডিসিন, ইউনিভার্সিটি অফ লুইসভিলি, ইউ এস এ

1 comment:

  1. Ayatollah, it was nice reading. Keep up. What r the other news? do mail..... a.bashir, peace tv mumbai

    ReplyDelete